চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলের সৌন্দর্যের অন্ত নেই। দেশ বিদেশে সুনাম ছড়িয়ে আছে এই শ্রীমঙ্গলের। উপজেলার আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে আছে প্রকৃতির অনাবিল সৌন্দর্য। উঁচু-নিচু টিলা আর চা বাগান ঘেরা সবুজের হাতছানি প্রকৃতিপ্রেমীদের নজর কাড়ে। রয়েছে লাওয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, বাইক্কা বিল, চা কন্যা, বিটিআরআই, বদ্ধভূমি ৭১। এসব দেখে বিমোহিত হন পর্যটকরা। এজন্য দিন দিন বাড়ছে এখানে পর্যটকদের আনাগোনা। চা বাগানঘেরা প্রকৃতি কন্যা শ্রীমঙ্গলের প্রতিটি চা বাগানেই রয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। তার একটি কালীঘাট চা বাগানের সীমান্তবর্তী লেক। শহর থেকে মাত্র ১৫ মিনিটের পথ কালীঘাট চা বাগান। কালীঘাট বিজিবি সীমান্ত ফাঁড়ির কাছাকাছি সীমান্তঘেষা এ লেকটি। যাওয়ার পথে চোখে পড়বে চা বাগানের অবারিত সবুজের হাতছানি। তারপর রাবার বাগানের ভিতরে হাঁটতে হাঁটতে পৌছে যাবেন বালিশিরা লেকে। লেকের স্বচ্ছ জল, ফুটে থাকা শাপলা ফুল ও সড়ালির ভেসে বেড়ানো আপনাকে মুগ্ধ করবেই। এখানে রাবার বাগান, আগর বাগান ও সবুজের সিঁড়ি বিছানো চা বাগান ও আনারস বাগানের সৌন্দর্য আপনার ভ্রমণে এনে দেবে অনাবিল সজীবতা। টিলার ওপরে উঠে যখন চোখ মেলে তাকাবেন, তখন আপনি এক ভিন্ন জগতে। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সারি সারি পাহাড় আপনাকে চোখ ফিরাতেই দেবে না। ভ্রমণকালে এখানে ঘুরতে আসা মহসিন হোসেন মিল্লাদ ও নাসির উদ্দীনের সঙ্গে কথা বললে জানান, শ্রীমঙ্গলের বেশিরভাগ পর্যটন এলাকাই ঘোরা হয়ে গেছে। কিন্তু এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভোলার নয়। কালীঘাট চা বাগানের এ লেকটি মনে হয় স্বপ্ন দিয়ে কেউ তৈরি করেছেন। কথা হয় ভারতের পাঞ্জাবে উচ্চশিক্ষায় অধ্যয়নরত সিলেটের অভিজিত মোদকের সঙ্গে। তিনিও অভিভূত হন এই সৌন্দর্যে। যারা প্রকৃতিকে ভালোবাসেন, ভালোবাসেন চা বাগান, বন, টিলা আর পাহাড়ি ছড়া, তাদের জন্যই শ্রীমঙ্গল এখন অপেক্ষারত। বাগানের স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, অন্যান্য পর্যটন স্পটে লোকজন বেশি এলেও তুলনায় এই লেকটিতে প্রতিদিন দু-চারজন বেড়াতে আসেই। নানারকম সৌন্দর্য নিয়ে শ্রীমঙ্গল এখন নিজেকে মেলে ধরে আছে। প্রকৃতির খেয়াল বোঝা বড়ই কঠিন। প্রকৃতিই আমাদের সবচেয়ে বড় অবলম্বন। কর্মজীবনের প্রচণ্ড ব্যস্ততা, মানসিক চাপ প্রভৃতিতে আমরা ক্রমশই হাঁপিয়ে উঠি। প্রকৃতির কাছে এলেই প্রাকৃতিক সচেতজতা হৃদয়কে সপর্শ করে বড় আশ্চর্যজনকভাবে।
Sunday, August 7, 2016
সৌন্দর্যের ভিন্ন জগৎ কালীঘাট লেক, শ্রীমঙ্গল
চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলের সৌন্দর্যের অন্ত নেই। দেশ বিদেশে সুনাম ছড়িয়ে আছে এই শ্রীমঙ্গলের। উপজেলার আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে আছে প্রকৃতির অনাবিল সৌন্দর্য। উঁচু-নিচু টিলা আর চা বাগান ঘেরা সবুজের হাতছানি প্রকৃতিপ্রেমীদের নজর কাড়ে। রয়েছে লাওয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, বাইক্কা বিল, চা কন্যা, বিটিআরআই, বদ্ধভূমি ৭১। এসব দেখে বিমোহিত হন পর্যটকরা। এজন্য দিন দিন বাড়ছে এখানে পর্যটকদের আনাগোনা। চা বাগানঘেরা প্রকৃতি কন্যা শ্রীমঙ্গলের প্রতিটি চা বাগানেই রয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। তার একটি কালীঘাট চা বাগানের সীমান্তবর্তী লেক। শহর থেকে মাত্র ১৫ মিনিটের পথ কালীঘাট চা বাগান। কালীঘাট বিজিবি সীমান্ত ফাঁড়ির কাছাকাছি সীমান্তঘেষা এ লেকটি। যাওয়ার পথে চোখে পড়বে চা বাগানের অবারিত সবুজের হাতছানি। তারপর রাবার বাগানের ভিতরে হাঁটতে হাঁটতে পৌছে যাবেন বালিশিরা লেকে। লেকের স্বচ্ছ জল, ফুটে থাকা শাপলা ফুল ও সড়ালির ভেসে বেড়ানো আপনাকে মুগ্ধ করবেই। এখানে রাবার বাগান, আগর বাগান ও সবুজের সিঁড়ি বিছানো চা বাগান ও আনারস বাগানের সৌন্দর্য আপনার ভ্রমণে এনে দেবে অনাবিল সজীবতা। টিলার ওপরে উঠে যখন চোখ মেলে তাকাবেন, তখন আপনি এক ভিন্ন জগতে। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সারি সারি পাহাড় আপনাকে চোখ ফিরাতেই দেবে না। ভ্রমণকালে এখানে ঘুরতে আসা মহসিন হোসেন মিল্লাদ ও নাসির উদ্দীনের সঙ্গে কথা বললে জানান, শ্রীমঙ্গলের বেশিরভাগ পর্যটন এলাকাই ঘোরা হয়ে গেছে। কিন্তু এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভোলার নয়। কালীঘাট চা বাগানের এ লেকটি মনে হয় স্বপ্ন দিয়ে কেউ তৈরি করেছেন। কথা হয় ভারতের পাঞ্জাবে উচ্চশিক্ষায় অধ্যয়নরত সিলেটের অভিজিত মোদকের সঙ্গে। তিনিও অভিভূত হন এই সৌন্দর্যে। যারা প্রকৃতিকে ভালোবাসেন, ভালোবাসেন চা বাগান, বন, টিলা আর পাহাড়ি ছড়া, তাদের জন্যই শ্রীমঙ্গল এখন অপেক্ষারত। বাগানের স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, অন্যান্য পর্যটন স্পটে লোকজন বেশি এলেও তুলনায় এই লেকটিতে প্রতিদিন দু-চারজন বেড়াতে আসেই। নানারকম সৌন্দর্য নিয়ে শ্রীমঙ্গল এখন নিজেকে মেলে ধরে আছে। প্রকৃতির খেয়াল বোঝা বড়ই কঠিন। প্রকৃতিই আমাদের সবচেয়ে বড় অবলম্বন। কর্মজীবনের প্রচণ্ড ব্যস্ততা, মানসিক চাপ প্রভৃতিতে আমরা ক্রমশই হাঁপিয়ে উঠি। প্রকৃতির কাছে এলেই প্রাকৃতিক সচেতজতা হৃদয়কে সপর্শ করে বড় আশ্চর্যজনকভাবে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment