জেনে নিন বাই রোডে কিভাবে ভুটান যেতে পারবেন
ভূটানকে বলা হয় সৌন্দর্যের নগরী । ভূটানে যেতে যেহেতু বাংলাদেশীদের ভিসা লাগে না তাই অসংখ্য পর্যটক প্রতিবছরই ভূটান পাড়ি জমায় । অনেকেই আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন যে কিভাবে ভূটান যেতে হয় বাই রোডে । আজকের আয়োজনটা থাকছে আপনাদের প্রশ্নগুলোকে কেন্দ্র করে । আশা করি এই লেখনির মাধ্যমে অনেকেই উপকৃত হবেন ।
বাবার মুখে যখন প্রথম শুনেছিলাম তখন মনে হয়েছিলো এ যেন এক স্বপ্নের দেশকিন্তু বাস্তব যখন সামনে এসে দাঁড়ালো তখন দেখলাম ভূটান একটি সাজানো গোছানো পরিচ্ছন্ন ছবির মতো চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্য নিয়ে বসে আছে । ভূটানে বাই রোডে কিভাবে যাবেন তা তুলে ধরা হলো ।
স্বপ্নের লীলাভূমি ভূটানে যেতে প্রথমেই আপনার ট্রানজিট ভিসা লাগবে । ট্রানজিট ভিসা আপনি শুধুমাত্র ঢাকার গুলশান শাখা থেকেই করিয়ে নিতে পারবেন । ট্রানজিট ভিসার বিস্তারিত বিবরণ আপনি নিচের লিঙ্কটিতে পাবেন ।
রাতে শ্যামলী এস আর বাসে উঠে পড়ুন । কল্যাণপুর থেকে রাত ৯ টায় এবং আরামবাগ থেকে রাত ৮ টায় ছাড়ে এই বাস । সকাল ৭-৮ টার মধ্যেই আপনি বুড়িমারি সীমান্তে পৌঁছে যাবেন । সকাল ৯ টায় ইমিগ্রেশনের অফিস খুলবে তখন আপনি ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত সকল কার্যাদি সম্পন্ন করে ভারতে প্রবেশ করতে পারবেন । দুই বর্ডারের প্রয়োজনীয় কাজ সমাপ্ত হলে আপনি নির্দিষ্ট বাসে উঠে পড়ুন ।
এবার ইন্ডিয়া থেকে ভূটান যাবার জন্য ময়নাগুড়ি নামক জায়গায় নেমে অন্য একটি বাসে আপনাকে উঠতে হবে । ভাড়া পড়বে জনপ্রতি ৩০ রুপি । ভূটান-ইন্ডিয়া বর্ডারের কাছাকাছি যাবার জন্য এবার আপনাকে সাফারি নামক গাড়িতে উঠে পড়তে হবে । এরপর ৭ টাকা ভাড়া দিয়ে আপনাকে অটোতে উঠে বসতে হবে । অটোটি আপনাকে জয়গাও ইন্ডিয়ান ইমিগ্রশন অফিসে নামিয়ে দেবে । ইমিগ্রশন অফিসে এক্সিট সীল লাগিয়ে আপনি ভূটানে প্রবেশ করতে পারবেন । মনে রাখবেন কোন প্রকার ভূল তথ্য দেয়া যাবে না ।
কোন সমস্যাই হয় না ভূটান-ইন্ডিয়া বর্ডার পার হতে । ইমিগ্রশন পর্ব শেষ করেই সোজা চলে যাওয়া যায় ভূটানে । খাওয়া দাওয়াটাও চাইলে আপনি এখানেই সেরে নিতে পারেন, আমারমতে সেটাই ভালো হবে । তারপর আপনি আপনার নিজের ইচ্ছামতো পছন্দের শহরে চলে যেতে পারবেন
এখানে ঘুরে দেখার মতো রয়েছে থিম্পু, পারু, পোখারা এবং পুনাখা শহর ।
স্বপ্নের শহর বান্দরবানের স্বনামধন্য কিছু হোটেলের নাম ঠিকানা এবং ফোন নাম্বার
স্বপ্নের শহর বান্দরবানে ঘুরতে যেতে চান? সেখানকার ভালো হোটেলের ঠিকানা এবং ফোন নাম্বার নেই তাহলে কিভাবে কি করবেন? অনেক দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন কোথাও কোন তথ্য না পেয়ে ? তাহলে আজকের এই আয়োজন শুধুমাত্র আপনার জন্যই । এখানে আপনি সহজেই পেয়ে যাবেন বান্দরবানের স্বনামধন্য কিছু হোটেলের নাম ঠিকানা এবং ফোন নাম্বার ।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যর এক অপার সমাহার বান্দরবান। যেখানে প্রকৃতি নিজ ঐশ্বর্যকে ঢেলে দিতে কৃপণতা করেনি। পাহাড়ি এ জেলায় রয়েছে অসংখ্য হ্রদ, ঝরনা, নদী। এখানকার জীববৈচিত্র্য এবং তাদের ঐতিহ্যপূর্ণ বর্ণাঢ্য সংস্কৃতি যেকোন সংস্কৃতি মনা ও ভ্রমণপিয়াসু মানুষকে কাছে টানে সহজেই। পর্যটন স্পটগুলোতে আসলে কোথায় থাকবেন বিস্তারিত জেনে নিন…….
হোটেল হিল ভিউ:
বান্দরবানে প্রবেশ করতেই দেখতে পাবেন শহরের সবচেয়ে বড় আবাসিক হোটেল হিল ভিউ। শহরের কাছেই এ হোটেলের ভাড়া রুমপ্রতি ১০০০-৪০০০ টাকা। ফোন: ০৩৬১-৬৩০৪৫।
পর্যটন মোটেল:
পর্যটন স্পট মেঘলার পাশেই পর্যটন কর্পোরেশন কর্তৃক পরিচালিত পর্যটন মোটেল। যার ভাড়া রুম প্রতি ৮৫০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে। ফোন: ০৩৬১-৬২৭৪১ এবং ০৩৬১-৬২৭৪২।
হলি ডে ইন: চারিদিকে পাহাড় আর প্রাকৃতিক লেকের কাছাকাছি থাকতে চাইলে যেতে পারেন মেঘলার কাছেই অবস্থিত হলি ডে ইন এ। যার ভাড়া রুম প্রতি ১৫০০-৩০০০ টাকা পর্যন্ত। ফোন: ০৩৬১-৬২৮৯৬
হলি ডে ইন: চারিদিকে পাহাড় আর প্রাকৃতিক লেকের কাছাকাছি থাকতে চাইলে যেতে পারেন মেঘলার কাছেই অবস্থিত হলি ডে ইন এ। যার ভাড়া রুম প্রতি ১৫০০-৩০০০ টাকা পর্যন্ত। ফোন: ০৩৬১-৬২৮৯৬
ভেনাস রিসোর্ট:
বান্দরবানের মেঘলা এলাকায় অবস্থিত ভেনাস রিসোর্ট। যেখানে রয়েছে পাহাড়ের চূড়ায় ৫টি আধুনিক কটেজ। এছাড়াও রয়েছে ভেনাস চাইনিজ রেস্টুরেন্ট, যেখানে দেশি-বিদেশি মজাদার সব রকমের খাবার পাওয়া যায়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সঙ্গে শৈল্পিক ছোঁয়া এবং একাধিক ছোটবড় ভাস্কর্যে সাজানো হয়েছে ভেনাস রিসোর্ট। ফোন- ০৩৬১-৬৩৪০০, ০১৫৫২৮০৮০৬০।
হোটেল প্লাজা:
এটি বান্দরবানের অন্যতম আধুনিক আবাসিক হোটেল। বান্দরবান শহরের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থিত এ হোটেলে রাত্রিযাপন করতে পারবেন ১০০০-৪০০০ টাকার মধ্যে। ফোন: ০৩৬১-৬৩২৫২।
হিলসাইড রিসোর্ট:
চিম্বুক যাওয়ার পথে মিলনছড়ি এলাকায় পাহাড়ের বুকে গড়ে ওঠা এ রিসোর্ট বান্দরবানের অন্যতম দৃষ্টিনন্দন রিসোর্ট হিসেবে পরিচিত। যেখানে বসে পাহাড়, নদী আর মেঘের দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন সহজেই। যার ভাড়া রুম প্রতি ১৫০০-৪০০০ টাকার মধ্যেই। ফোন: ০১৫৫৬৫৩৯০২২, ০১৭৩০০৪৫০৮৩।
সাকুরা হিল রিসোর্ট:
চিম্বুক রোডের মিলনছড়ি এলাকার কাছাকাছি এ রিসোর্ট অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন। প্রাকৃতিক ও কোলাহলমুক্ত পরিবেশে থাকতে চাইলে এ রিসোর্ট এর কোন বিকল্প নেই। যার ভাড়া রুম প্রতি ১৫০০-৩০০০ টাকা পর্যন্ত।
হোটেল ফোর স্টার:
এটি বান্দরবান বাজারে অবস্থিত। রুম প্রতি ভাড়া ৩০০-১২০০ টাকা। ফোন:-০৩৬১-৬৩৫৬৬, ০১৮১৩২৭৮৭৩১,০১৫৫৩৪২১০৮৯।
হোটেল থ্রী স্টার :
এটি বান্দরবান বাসস্ট্যান্ডের পাশে অবস্থিত। এটি ৮/১০ জন থাকার মতো ৪ বেডের এমন একটি ফ্ল্যাট। প্রতি নন এসি ফ্ল্যাট-২৫০০ টাকা, এসি-৩০০০ টাকা। ফোন:- ০১৫৫৩৪২১০৮৯।
পর্যটকদের জন্য জরুরী এবং প্রয়োজনীয় কিছু ফোন নাম্বার: ওসি, বান্দরবান সদর থানা ০১৭৩০-৩৩৬১৬৬, ০৩৬১-৬২২৩৩, ওসি, রুমা থানা ০১৮২০-৪২৫৬৪৩, ওসি, থানছি থানা ০১৫৫৭-২৫৬৯৫৮, ওসি, লামা থানা ০১৮২০-৪২৫৬৪৪, বান্দরবান সদর হাসপাতাল ০৩৬১-৬২৫৪৪, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ০৩৬১-৬২২২২, বান্দরবান প্রেসক্লাব -০৩৬১-৬২৫৪৯।
ওসি, বান্দরবান সদর থানা- ০১৭৩০-৩৩৬১৬৬, ০৩৬১-৬২২৩৩
ওসি, রুমা থানা- ০১৮২০-৪২৫৬৪৩
ওসি, থানছি থানা- ০১৫৫৭-২৫৬৯৫৮
ওসি, লামা থানা- ০১৮২০-৪২৫৬৪৪
বান্দরবান সদর হাসপাতাল- ০৩৬১-৬২৫৪৪
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স- ০৩৬১-৬২২২২
বান্দরবান প্রেসক্লাব- ০৩৬১-৬২৫৪৯।
No comments:
Post a Comment